"#ময়নাডালে_মহাপ্রভু !" "(#পর্ব_০৬)" চলবে ৷
#নৃসিংহবল্লভ_মিত্র_ঠাকুর
ময়নাডালে এসে মহাপ্রভুর সেবার জন্য বিভিন্ন যাত্রা মহোৎসবের গান রচনা করেন ৷
নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুর তাঁর নিজস্বভাব ও গম্ভীর ও তালে সেইসব গান মন্দির চত্বরে মহাপ্রভুর বিগ্রহের সামনে বসে গাইতেন ৷ বৈষ্ণবোচিত সকল অনুষ্ঠানই ময়নাডাল ঠাকুর বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়, তার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী-নন্দোৎসব এবং দোল যাত্রা ৷ বৈষ্ণবোচিত উৎসবগুলিতে ঠাকুর বাড়িতে যে গানগুলি গাওয়া হয় তার রচয়িতা,সুরকার ও মৃদঙ্গের বোল স্রষ্টা স্বয়ং নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুর ৷
#যেমন_জন্মাষ্টমির সন্ধ্যারতিতে নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুরের সময় হতে এখনও যে গানটি ময়নাডালের ঠাকুর বাড়িতে মিত্র ঠাকুরদের সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়—
"#অারতি_কিয়ে_জয়শ্রী গৌরগোপাল কি কনক কমল রুচিরানন ঝলক তিলক বর ভাল কি ৷"
এর শেষাংশ—
"#রূপক_ভূপ_অনুপ বর লাবণি
উছলত গৌর দয়াল কি
গৌর অঙ্গ পহুঁ নরসিংহ ক্যাগতি- ক্যাভয় উয়াযম্ কালকি ৷"
#শ্রীখোলের বোলের তরঙ্গে এই গান অাস্বাদন যাঁরা করেন,তাঁরা ভাগ্যবান ৷
#সেদিন_জন্মাষ্টমীর উৎসব চলছে ঠাকুরবাড়িতে দলে দলে ভক্তের সমাগমে ময়নাডালের ঠাকুরবাড়িতে যেন তিল ধারনের জায়গা নেই ৷
#নৃসিংহবল্লভ_মিত্র ঠাকুর মনে মনে ঠিক করেছেন, অাজ তাঁর প্রাণের ঠাকুরকে মনের মত করে শৃঙ্গার করবেন ৷ তিনি নিজ হাতে বড় মাপের,যেন চরণ ছুঁয়ে থাকে সেরকম সাদা ফুলের মালা ও একটি কৃষ্ণ বর্ণের তমাল পাতার মালা, তার পরেও একটি সাদা ও লাল ফুল মিশিয়ে একটি মালা গাঁথলেন ৷ দুই হাতে ফুল দিয়েই বালা তৈরী হল, কানে ফুলের কুণ্ডল,মাথার চূড়া ফুলের সাজে ঢাকা পড়ল ৷ এখন তিনি ভাবছেন অাজ অামার গৌরহরিকে কৃষ্ণবেশে সাজিয়ে দিই,তাই তিনি গৌরহরিকে পীতবাস পড়ালেন ৷ কিন্তু তবুও তাঁর মন ভরল না, তাঁর খেয়াল হল তাঁর গৌরহরি-তো রাধা-কৃষ্ণের মিলিত তনু, নিজভাবনাতেই তিনি গৌরহরির মাথায় ঘোমটা পড়ালেন,তিনি যেন গৌরহরির অপরূপ রূপ দর্শন করলেন, নৃসিংহবল্লভের চোখের জল যেন বাঁধ মানে না ৷ তিনি মনে মনে ভাবছেন,রাধা ভাবে মৃদু মৃদু হেসে তাঁর প্রাণের ঠাকুর যেন বলছেন রাধারাণীর রূপে যে অামি গৌরহরি হয়েছি- নৃসিংহবল্লভ ! এই রাধাভাব অামি বড় ভালবাসি ৷ নৃসিংহবল্লভের চোখের পলক যেন পড়ে না, তিনি যে কতক্ষণ এভাবে তাঁর প্রাণের ঠাকুর গৌরহরির দিকে তাকিয়ে বসে অাছেন হয়ত তিনি নিজেও জানেন না ৷ কিন্তু উপায় নেই, তাঁর মনে পড়ল বাবাজী বৈষ্ণবেরা এসেছেন,তাঁদেরও সেবার অায়োজন করতে হবে ৷
#জন্মাষ্টমীর_নিশি, মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের অভিষেক সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁর প্রাণের ঠাকুর গৌরহরির অারতি করলেন নৃসিংহবল্লভ ৷ অার ভোরের অালো ফুটে উঠতেই শুরু হল নন্দোৎসবের অায়োজন ৷
"(#জয়_শ্রীগৌরহরি)"
"#ময়নাডালে_মহাপ্রভু !" "(#পর্ব_০৬)" চলবে ৷
#নৃসিংহবল্লভ_মিত্র_ঠাকুর
ময়নাডালে এসে মহাপ্রভুর সেবার জন্য বিভিন্ন যাত্রা মহোৎসবের গান রচনা করেন ৷
নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুর তাঁর নিজস্বভাব ও গম্ভীর ও তালে সেইসব গান মন্দির চত্বরে মহাপ্রভুর বিগ্রহের সামনে বসে গাইতেন ৷ বৈষ্ণবোচিত সকল অনুষ্ঠানই ময়নাডাল ঠাকুর বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়, তার মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী-নন্দোৎসব এবং দোল যাত্রা ৷ বৈষ্ণবোচিত উৎসবগুলিতে ঠাকুর বাড়িতে যে গানগুলি গাওয়া হয় তার রচয়িতা,সুরকার ও মৃদঙ্গের বোল স্রষ্টা স্বয়ং নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুর ৷
#যেমন_জন্মাষ্টমির সন্ধ্যারতিতে নৃসিংহবল্লভ মিত্র ঠাকুরের সময় হতে এখনও যে গানটি ময়নাডালের ঠাকুর বাড়িতে মিত্র ঠাকুরদের সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়—
"#অারতি_কিয়ে_জয়শ্রী গৌরগোপাল কি কনক কমল রুচিরানন ঝলক তিলক বর ভাল কি ৷"
এর শেষাংশ—
"#রূপক_ভূপ_অনুপ বর লাবণি
উছলত গৌর দয়াল কি
গৌর অঙ্গ পহুঁ নরসিংহ ক্যাগতি- ক্যাভয় উয়াযম্ কালকি ৷"
#শ্রীখোলের বোলের তরঙ্গে এই গান অাস্বাদন যাঁরা করেন,তাঁরা ভাগ্যবান ৷
#সেদিন_জন্মাষ্টমীর উৎসব চলছে ঠাকুরবাড়িতে দলে দলে ভক্তের সমাগমে ময়নাডালের ঠাকুরবাড়িতে যেন তিল ধারনের জায়গা নেই ৷
#নৃসিংহবল্লভ_মিত্র ঠাকুর মনে মনে ঠিক করেছেন, অাজ তাঁর প্রাণের ঠাকুরকে মনের মত করে শৃঙ্গার করবেন ৷ তিনি নিজ হাতে বড় মাপের,যেন চরণ ছুঁয়ে থাকে সেরকম সাদা ফুলের মালা ও একটি কৃষ্ণ বর্ণের তমাল পাতার মালা, তার পরেও একটি সাদা ও লাল ফুল মিশিয়ে একটি মালা গাঁথলেন ৷ দুই হাতে ফুল দিয়েই বালা তৈরী হল, কানে ফুলের কুণ্ডল,মাথার চূড়া ফুলের সাজে ঢাকা পড়ল ৷ এখন তিনি ভাবছেন অাজ অামার গৌরহরিকে কৃষ্ণবেশে সাজিয়ে দিই,তাই তিনি গৌরহরিকে পীতবাস পড়ালেন ৷ কিন্তু তবুও তাঁর মন ভরল না, তাঁর খেয়াল হল তাঁর গৌরহরি-তো রাধা-কৃষ্ণের মিলিত তনু, নিজভাবনাতেই তিনি গৌরহরির মাথায় ঘোমটা পড়ালেন,তিনি যেন গৌরহরির অপরূপ রূপ দর্শন করলেন, নৃসিংহবল্লভের চোখের জল যেন বাঁধ মানে না ৷ তিনি মনে মনে ভাবছেন,রাধা ভাবে মৃদু মৃদু হেসে তাঁর প্রাণের ঠাকুর যেন বলছেন রাধারাণীর রূপে যে অামি গৌরহরি হয়েছি- নৃসিংহবল্লভ ! এই রাধাভাব অামি বড় ভালবাসি ৷ নৃসিংহবল্লভের চোখের পলক যেন পড়ে না, তিনি যে কতক্ষণ এভাবে তাঁর প্রাণের ঠাকুর গৌরহরির দিকে তাকিয়ে বসে অাছেন হয়ত তিনি নিজেও জানেন না ৷ কিন্তু উপায় নেই, তাঁর মনে পড়ল বাবাজী বৈষ্ণবেরা এসেছেন,তাঁদেরও সেবার অায়োজন করতে হবে ৷
#জন্মাষ্টমীর_নিশি, মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের অভিষেক সম্পন্ন হওয়ার পর তাঁর প্রাণের ঠাকুর গৌরহরির অারতি করলেন নৃসিংহবল্লভ ৷ অার ভোরের অালো ফুটে উঠতেই শুরু হল নন্দোৎসবের অায়োজন ৷
"(#জয়_শ্রীগৌরহরি)"